বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন দ্রোহের কবি নজরুল ইসলামের সমাধিতে শুক্রবার সকাল থেকেই বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হচ্ছে।
এদিকে জাতীয় কবির মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বিএনপি, ছাত্রদল ও জাসাসসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। শুক্রবার সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে জাতীয় কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির নেতাকর্মীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির শিক্ষা সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান, জাসাস নেতা জাকির হোসেন রোকন, যুবদল নেতা সোহেল আহমেদ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ। জাতীয় কবির স্মৃতির প্রতি গ্রভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, কবি নজরুল ইসলাম তার সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে মানবতার কথা প্রকাশ করেছেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে তার কবিতা, গান এক যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছে। উজ্জীবিত করেছে অবহেলিত ও শোষিত মানুষকে। ফলে তিনি ব্রিটিশ শাসকদের চক্ষুশুলে পরিণত হন এবং কারা নির্যাতন ভোগ করেন। রিজভী বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের সামনে চলার অন্তহীন প্রেরণার উৎস। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার কবিতা ও গান যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধা ও এদেশের মুক্তিকামী মানুষকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে, উজ্জীবিত করেছে।
আজও গণতন্ত্রহীন বাংলাদেশে আন্দোলন সংগ্রামে তাঁর কবিতা ও গান আমাদেরকে শক্তি ও সাহস জোগায়। তিনি আরও বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক চিরকালীন দ্রোহের প্রতীক। তার রচনা আমাদেরকে স্বদেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। সমাজে শান্তি, সাম্য ও মানবতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাঁর স্বপ্ন পূরণে আমাদেরকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। কাজী নজরুল ইসলাম তার সৃষ্টিকর্মের জন্য চিরদিন অমর হয়ে থাকবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।